স্ত্রীকে মাথায় মুগুর মেরে খুন করে আত্মহত‍্যার চেষ্টা স্বামীর

12th July 2020 4:53 pm বাঁকুড়া
স্ত্রীকে মাথায় মুগুর মেরে খুন করে আত্মহত‍্যার চেষ্টা স্বামীর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার মৌচূড়া গ্রামের বাউরি পাড়ায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে অন্যদিকে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ক্ষেত থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মৃতের স্বামী কে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দুর্গা বাউরী (৪৮ )। স্বামীর নাম নিতাই বাউরি (৬০)। পারিবারিক অশান্তি না অন্য কোনো কারণ রয়েছে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাত্রি বারোটা নাগাদ নিতাই বাউরী বাড়ির মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী দুর্গা বাউরি উপর চড়াও হয়। মুগুর নিয়ে চড়াও হয়ে স্ত্রী দুর্গা বাউরি কে মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে পালিয়ে যায় নিতাই পরিবারের অভিযোগ এমনি। পাশেই শুয়ে ছিল দুর্গা দেবীর এক বিবাহিতা কন্যা তার চিৎকার-চেঁচামেচিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আশেপাশের মানুষ বেরিয়ে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে দুর্গাদেবী মাথায় গভীর ক্ষত।  ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুর্গাদেবীর। তারপর থেকেই খোঁজ  পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত স্বামী নিতাই বাউরির। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ওন্দা থানার পুলিশ।বাড়ি থেকে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে বিষ খেয়ে পড়েছিলেন অভিযুক্ত নিতাই বাউরী। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামসাগর হাসপাতাল পরে সেখান থেকে বিষ্ণুপুর হাসপাতাল ভর্তি করেন সেখানে চিকিৎসা চলছে নিতাই বাউরি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক একটা অশান্তির ছিল সেই কারণেই ঘটতে পারে খুনের ঘটনা এছাড়াও স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন স্বামী নিতাই এই বিষয়টিও খুনের ঘটনার কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে ওন্দা থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।